এক দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তে অব্যাহত গোলাগুলির ঘটনায় দুই বাংলাদেশি যুবক প্রাণ হারিয়েছেন। এই ঘটনাগুলো ইতিমধ্যে বেশ উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে বর্ডার এলাকাগুলিতে। প্রথমে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে একজন যুবকের মৃত্যু হয়, পরে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের মুরইছড়া সীমান্তে একইভাবে Another যুবক প্রাণ হারান। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে এই দ্বিতীয় ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম সুখিরাম উরাং (২৫), তিনি মুরইছড়া বস্তির বাসিন্দা এবং দাসনু উরাংয়ের ছেলে। স্থানীয়রা জানালেন, মুরইছড়া সীমান্তে বিনা উসকানিতে এবং কোনও কারণ ছাড়া ইতিমধ্যে গুলি চালায় বিএসএফ। সেই গুলিতে তিনি ঘটনাস্থলেই পড়ে যান। পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত কুলাউড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালের ডাক্তারের মতে, সুখিরাম উরাং পেছনে ডানপাশের পাজরে গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ লাশ সরিয়ে নিয়ে ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করে। কুলাউড়া থানার ওসির মতে, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। এই ঘটনায় বিজিবির ৪৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক কর্নেল এএসএম জাকারিয়া জানিয়েছেন, মুরইছড়া সীমান্তে যুবকের মৃত্যুর ঘটনার খবর পাওয়া গেছে, তবে ভারতীয় বিএসএফ এ ব্যাপারে কিছু স্বীকার করেনি। বর্তমানে এই বিষয়টি কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে পতাকা বৈঠক চলছে। এর আগে গত বুধবার গভীর রাতে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক যুবক নিহত হন। তার নাম সবুজ ইসলাম (৩০), তিনি পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের পঁচাভান্ডার গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। পুলিশ ও বিজিবি ধারণা করছে, ওই সময় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে গরু চুরির অপারেশনের সময় এই ঘটনা ঘটে। গরু আন-নেওয়ার জন্য দুই দেশের গরু চোরাচালানকারীরা সীমান্ত পার হয়। ভারতের সীমান্তে পৌঁছে গুলির ঘটনাটি ঘটে। নিহত যুবকের লাশ ভারতীয় সেনারা ভারতের পোস্থানে রাখে। এ ঘটনার পর বিএসএফের গুলিতে নিহত এই যুবকের নাম ঘাইতাল পান, ওঁরা গুলি চালিয়েছিল। ঘটনাস্থলে বাংলাদেশবিজিবির টহল দল ও সেনা সদস্যরা উপস্থিত হন এবং তদন্ত শুরু করেন।
Leave a Reply